Skip to main content

পুরুষদের যৌনস্বাস্থ্য সমস্যা নির্ণয় এবং প্রতিরোধের উপায়

 



যৌনসমস্যা হল সেই সমস্যা যা যৌন সম্পর্ক/প্রক্রিয়ার পুরো চক্রের যে কোন পর্যায়ে দম্পতিকে পূর্ণ তৃপ্তি অর্জনে বাঁধা প্রদান করে বা কোন সমস্যার সম্মুখীন করে। নারী বা পুরুষ উভয়েরই যৌন সমস্যা থাকতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি যেকোন বয়সী পুরুষদের দেখা দিতে পারে। তবে সাধারণত বয়স্কদের মাঝে কিছু সমস্যা বেশি দেখা দেয়। সমস্যাগুলোর অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধান করে চিকিৎসা নিলে এগুলো ভালো হয়ে যায়।
কি ধরণের যৌনসমস্যা দেখা যায়?
পুরুষদের মাঝে সাধারণত ৪ ধরণের যৌন সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হতে দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যাগুলো সঠিক চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে তা হয়তো তেমন কোন সমস্যা বলেও পরিলক্ষিত হয় না। এগুলো হল-
#ইরেক্টাইল ডিসফাংশন
#অকাল বীর্যপাত
#বিলম্বিত বা বীর্যপাতে বাঁধা
পুরুষদের যৌন সমস্যার কারণ:
পুরুষদের মধ্যে যৌন সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ শারীরিক কিংবা মানসিক উভয়ই হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে যৌন সমস্যার শারীরিক কারণগুলি হল:
#হরমোনের মাত্রার তারতম্য বিশেষ করে টেস্টোস্টেরন হরমোন।
#ঔষধের প্রভাব (কিছু এন্টিডিপ্রেসেন্টস, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ)।
#রক্তনালীতে ব্যাধি যেমন এথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনীতে কোন বাঁধা) এবং উচ্চ রক্তচাপ।
#স্ট্রোক বা ডায়াবেটিস বা অস্ত্রোপচারের ফলে স্নায়ুবিক অবস্থার পরিবর্তন ।
#মদ্যপান এবং মাদক সেবন।
মানসিক কারণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
#শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন।
#দাম্পত্য বা পারিবারিক সম্পর্কের সমস্যা।
#ডিপ্রেশন, অপরাধবোধ।
#অতীতের কোন যৌন তিক্ততা বা ট্রমা।
#কর্ম-সম্পর্কিত চাপ এবং উদ্বেগ।
যৌন সমস্যার কারণ নির্ণয় করে কিভাবে?
#রক্ত ​​পরীক্ষার মাধ্যমে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা, রক্তে সুগার (ডায়াবেটিসের জন্য) এবং কোলেস্টেরল মাত্রা নির্ধারণ।
#রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখা।
#প্রোস্টেট পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ কিছু টেস্ট।
#লিঙ্গ এবং অন্ডকোষ পরীক্ষা।
#লিঙ্গে রক্ত ​​প্রবাহের বা অন্য সমস্যা আছে কিনা তা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে দেখা।
প্রতিকার:
যৌন সমস্যার ধরণ বুঝে ডাক্তার আপনাকে ঔষধ, হরমোন থেরাপি, মানসিক থেরাপি কিংবা উপসর্গ বুঝে চিকিৎসা প্রদান করবেন বা প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাবেন।
প্রতিরোধ:
#আপনার যে কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শগুলো সঠিক ভাবে মেনে চলুন।
#আপনার অ্যালকোহল পানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।
#ধুমপান ত্যাগ করুন। .
#হার্টের জন্য ভালো এমন স্বাস্থ্যকর এবং ব্যালেন্সড ডায়েট খান।
#সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যায়াম করুন।
#মানসিক সমস্যা যেমন স্ট্রেস, হতাশা এবং উদ্বেগের জন্য যদি প্রয়োজন হয় তবে মনোবিদের সাহায্য নিন।
#আপনার সঙ্গীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন এবং খোলাখুলি ভাবে কথা বলুন।
আপনার একটি সুস্থ এবং সুন্দর দাম্পত্য জীবন আমাদের সবার কাম্য।
যে কোনো যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কিউর পয়েন্ট ( Cure Point Consultancy )আছে আপনার পাশে । সুতরাং আর দেরী না করে আজই যোগাযোগ করুন।
ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট: 01614-167677, 01616-045632 (সরাসরি অথবা অনলাইনে রোগী দেখা হয়)
আমাদের ঠিকানা: ১২৮২ পূর্ব মনিপুর, Opposite-আল হেলাল হাসপাতাল, বেগম রোকেয়া স্মরণী রোড, মিরপুর, ঢাকা - ১২১৬
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

Comments

Popular posts from this blog

পুরুষের উত্থান ত্রুটি কেন হয় প্রতিকার কী?

  পুরুষের উত্থান ত্রুটি কেন হয় প্রতিকার কী? ইরেকটাইল ডিজফাংশন বা পুরুষের উত্থান ত্রুটিকে সহজ ভাষায় বলা হয় যৌন অক্ষমতা বা দুর্বলতা। পুরুষদের জন্য খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয় এটি। যৌনমিলনের পূর্বশর্ত পুরুষাঙ্গের যথাযথ উত্থান। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মিলনের পূর্বে পুরুষের লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান ঘটছে না কিংবা ঘটলেও বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। ফলে পরিপূর্ণ ও সফল যৌনমিলনও সম্ভব হচ্ছে না।  এ ধরনের সমস্যায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন দম্পতি। আবার সংকোচ ও দ্বিধার কারণে চিকিৎসকের কাছে যান না বাজারচলতি চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে কবিরাজি হারবাল বা টোটকা চিকিৎসা নিয়ে আরও জটিলতায় পড়েন। তাই সংকোচ ভেঙে এ সমস্যা নিয়ে সঠিক পরামর্শ নিতে হবে।  প্রথমেই জানা যাক কেন হয় ইরেকটাইল ডিজফাংশন। পুরুষের লিঙ্গের উত্থান মূলত যৌন উদ্দীপনার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর পুরুষের যৌন উদ্দীপনা খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া, যেটির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের মস্তিষ্ক, হরমোন, আবেগ, স্নায়ু, পেশি ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের। এগুলোর যেকোনো একটির সমস্যা বা অস্বাভাবিকতার কারণে ইরেকটাইল ডিজফাংশন হয়ে থাকতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপ, বিষণ্ন...

সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ

  সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ: সিফিলিস প্রধান যৌন রোগগুলোর মধ্য অন্যতম। এটি একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১২ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ দেহে দীর্ঘকালীন জটিলতা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের দেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, বিশেষ করে শহর এলাকায় রোগটি সচরাচর দেখা যায়। বন্দরনগরী ও শিল্পনগরীতে এ রোগটি সাধারণত দেখা যায়। সংক্রমণের উৎস কী : আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, ক্ষত হতে নিঃসৃত রস, লালা, যোনি থেকে নিঃসৃত রস, যোনি থেকে নিঃসৃত রক্ত, বীর্য আক্রান্ত ব্যক্তির ঠোঁট ও মুখ। কিভাবে সংক্রমিত হয় : আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে সৃষ্ট সিফিলিটিক ক্ষত এর সরাসরি সংস্পর্শে এলে জনান্তরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌনমিলন করলে। অনিরাপদ যৌনি মিলন, বিশেষ করে পায়ুপথে যৌন মিলন কিংবা মুখ মৈথুন কিংবা চুম্বন বিনিময় করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করলে। রক্তসঞ্চালন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ও এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত মা সন্তান জন্মদানের আগেই শিশুর দেহে বিস্তার ঘটিয়ে দেন। আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলে। বিশেষ...

সঙ্গমের স্থায়িত্ব কতক্ষণ?

  সঙ্গমের স্থায়িত্ব কতক্ষণ?  পুরুষ-নারীর মধ্যে যৌন মিলনে বাড়তি উন্মদনা কে না চায়। রতিক্রিয়ায় সঙ্গী পারদর্শী না হলে এর চেয়ে দুঃখের বোধ হয় আর কিছুই হতে পারে না ৷ ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে পাওয়া গেছে যে- সর্বোত্তম যৌন মিলনের সময়-ব্যপ্তি ৭ থেকে ১৩  মিনিট পর্যন্ত হয় ৷  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য দিয়েছেন যে বেস্ট সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স ৭-১৩ মিনিটের  ভিতর হয়। সমীক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেছেণ ৩ মিনিটের  সেক্স  পর্যাপ্ত সময় হয় ৷ এই গবেষণা করা হয়েছিল পেনিট্রেটিব সেক্সের ক্ষেত্রে আদর্শ সময় কি এটা নির্ণয় করার জন্য৷ এজন্য আমেরিকান এবং কানাডিয়ান  যুগলদের রান্ডম সিলেকশানের মাধ্যমে প্রশ্ন করা হয়। তাদের সবার উত্তর  ছিল - ৭ থেকে ১৩  মিনিটের যৌন মিলন 'কাম্য বা বাঞ্চনীয়'। অন্য একটি গবেষনা মতে - যৌনবিষয়ে সঠিক শিক্ষা, অঞ্চল, চামড়ার রঙ এবং শারীরিক আকারের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে যৌনমিলনে সময়-ব্যপ্তির তারতম্য দেখা যায়। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলি যেমন- বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার (বাদামী চা...