Skip to main content

সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ

 



সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ:


সিফিলিস প্রধান যৌন রোগগুলোর মধ্য অন্যতম। এটি একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১২ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ দেহে দীর্ঘকালীন জটিলতা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের দেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, বিশেষ করে শহর এলাকায় রোগটি সচরাচর দেখা যায়। বন্দরনগরী ও শিল্পনগরীতে এ রোগটি সাধারণত দেখা যায়।


সংক্রমণের উৎস কী : আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, ক্ষত হতে নিঃসৃত রস, লালা, যোনি থেকে নিঃসৃত রস, যোনি থেকে নিঃসৃত রক্ত, বীর্য আক্রান্ত ব্যক্তির ঠোঁট ও মুখ।


কিভাবে সংক্রমিত হয় : আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে সৃষ্ট সিফিলিটিক ক্ষত এর সরাসরি সংস্পর্শে এলে জনান্তরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে।


আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌনমিলন করলে। অনিরাপদ যৌনি মিলন, বিশেষ করে পায়ুপথে যৌন মিলন কিংবা মুখ মৈথুন কিংবা চুম্বন বিনিময় করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করলে। রক্তসঞ্চালন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ও এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত মা সন্তান জন্মদানের আগেই শিশুর দেহে বিস্তার ঘটিয়ে দেন। আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলে। বিশেষ করে সবার মনে রাখার প্রয়োজন এ রোগ কখনোই খাওয়ার পাত্র, চামচ, গামছা, ন্যাপকিন, সুইমিং পুল, বাথটাব কিংবা ব্যবহৃত কাপড়চোপর দিয়ে ছড়ায় না।


লক্ষণ কী : সিফিলিসের প্রথম লক্ষণ যেমন দেরিতে (অর্থাৎ ২১ দিন পর) প্রকাশ পায় তেমনি শেষ পর্যায়ে যেতেও অনেক সপ্তাহ, মাস বা বছর পেরিয়ে যায়।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সিফিলিস আক্রান্ত পুরুষের লিংগমুণ্ড কিংবা লিংগমুণ্ডের ত্বকে ছোট শক্ত গোটা, ফুসকুড়ি দেখা দেয়। নারীর ক্ষেতে যৌনির ঠোঁট বা ক্লাইটেরিসে শক্ত গোটা ওঠে।


প্রাইমারি পর্যায় : ২১ দিন পর একটি মাত্র সিফিসিটিক ক্ষত প্রকাশিত হয়। প্রথমে শরীরে পোকার কামড়ের মতো গোল গোল দাগ দেখা যায়। এটি নারীর ক্ষেত্রে ক্লাইটেরিস ও পুরুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গমুণ্ডের ত্বকে গোটা হয়। যৌনাঙ্গ ছাড়াও এটি মলদ্বার, ঠোঁট বা স্তনের বোঁটাতেও হতে পারে। কাছাকাছি গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠতে পারে। মাঝে মধ্যে এগুলো ব্যথাহীন এবং শক্ত হয়ে দেখা দেয়। একে শ্যাঙ্কার বলা হয়।


মাধ্যমিক পর্যায় : সংক্রমণের ছয় সপ্তাহ পর শরীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুসকুড়ি দেখা দেয়। সিফিলিটিক ক্ষতগুলো অমসৃণ, লাল বা লালচে-বাদামি দাগ হিসেবে হাত-পায়ের তালুতে দেখা দেয়। ক্ষত ছাড়াও জ¦র, লসিকা গ্রন্থি ফোলা, গলাভাঙা, মাথাব্যথা, বিভিন্ন স্থানের চুল ঝরে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, পেশিব্যথা, ক্লান্তি ইত্যাদি এ পর্যায়ে দেখা দেয়। যখন আক্রান্ত রোগী তীব্রভাবে সংক্রমিত হয়, তার মুখের ত্বক যদি ছিঁড়ে যায় তাহলে চুমুর মাধ্যমেও রোগ ছড়াতে পারে। প্রায় এক বছরের মধ্যে রোগের চিহ্নগুলো মিলিয়ে যায়।


সুপ্ত পর্যায় : এ পর্যায়ে আক্রান্তের দেহে কোনো ক্ষত, ফুসকুুড়ি বা অন্যান্য লক্ষণ দেখা যায় না। বছরের পর বছর এ পর্যায় অব্যাহত থাকতে পারে।


বিলম্বিত পর্যায় : জীবাণুুতে প্রথম সংক্রমিত হওয়ার প্রায় ১০-২০ বছর পর সিফিলিস পূর্ণাঙ্গরূপে আবির্র্ভূত হয়। রোগের বিলম্বিত পর্যায়ে রোগীর স্নায়ু, চোখ, হৃৎপিণ্ড, রক্তকণিকা, যকৃত, গ্রন্থি ও সন্ধির ক্ষতি সাধন করে। ফলে পেশি সঞ্চালনে বিগ্ন ঘটে, দেখা দেয় হতবুদ্ধি ও অস্থিরবিত্ত। এ অবস্থায় রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।


চিকিৎসা : সিফিলিসের লক্ষণ জানা থাকলে প্রাথমিক পর্যায়ে সহজেই চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়। এ রোগ হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই চিকিৎসা নেয়া উচিত, অন্যথায় এ সংক্রমণ সঙ্গীর কাছ হতে আবার হতে পারে। সম্পূর্ণ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন থেকে নিজেকে বা অন্যকে বিরত রাখতে হবে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই সঠিক সময়ে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করলে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।


যে কোনো যৌন সমস্যার সমাধানে পরামর্শ এর জন্য ফোন করতে পারেন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।


ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট: 01614-167677, 01616-045632 (সরাসরি অথবা অনলাইনে রোগী দেখা হয়)। এই দুইটা নাম্বার ছাড়া আর কোনো নাম্বার নেই। সুতরাং অন্য কোনো নাম্বার থেকে সেবা নিয়ে প্রতারিত হবেন না।


আমাদের ঠিকানা: ১২৮২ নং বিল্ডিং,মেট্রোরেল পিলার নং ২৬৬ বরাবর পূর্ব মনিপুর,বেগম রোকেয়া স্মরণী রোড, মিরপুর ১০, ঢাকা ১২১৬

Comments

Popular posts from this blog

পুরুষের উত্থান ত্রুটি কেন হয় প্রতিকার কী?

  পুরুষের উত্থান ত্রুটি কেন হয় প্রতিকার কী? ইরেকটাইল ডিজফাংশন বা পুরুষের উত্থান ত্রুটিকে সহজ ভাষায় বলা হয় যৌন অক্ষমতা বা দুর্বলতা। পুরুষদের জন্য খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয় এটি। যৌনমিলনের পূর্বশর্ত পুরুষাঙ্গের যথাযথ উত্থান। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মিলনের পূর্বে পুরুষের লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান ঘটছে না কিংবা ঘটলেও বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। ফলে পরিপূর্ণ ও সফল যৌনমিলনও সম্ভব হচ্ছে না।  এ ধরনের সমস্যায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন দম্পতি। আবার সংকোচ ও দ্বিধার কারণে চিকিৎসকের কাছে যান না বাজারচলতি চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে কবিরাজি হারবাল বা টোটকা চিকিৎসা নিয়ে আরও জটিলতায় পড়েন। তাই সংকোচ ভেঙে এ সমস্যা নিয়ে সঠিক পরামর্শ নিতে হবে।  প্রথমেই জানা যাক কেন হয় ইরেকটাইল ডিজফাংশন। পুরুষের লিঙ্গের উত্থান মূলত যৌন উদ্দীপনার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর পুরুষের যৌন উদ্দীপনা খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া, যেটির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের মস্তিষ্ক, হরমোন, আবেগ, স্নায়ু, পেশি ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের। এগুলোর যেকোনো একটির সমস্যা বা অস্বাভাবিকতার কারণে ইরেকটাইল ডিজফাংশন হয়ে থাকতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপ, বিষণ্নতা বা অন্যান্য

বিছানায় সুখী করতে পারছেন না সঙ্গীকে?

 বিছানায় সুখী করতে পারছেন না সঙ্গীকে? অনিয়মিত জীবনধারা বাড়িয়ে তুলছে ডায়াবেটিস,উচ্চরক্তচাপ,কোলেস্টেরলের মতো অসুখ। এর পাশাপাশি রোজকার কর্মব্যস্ত জীবনে প্রভাব ফেলছে। বাড়িয়ে তুলছে মানসিক সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে মেজাজও পরিবর্তন হচ্ছে। এর সঙ্গেই ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে যৌন স্বাস্থ্যও। খিটখিটে স্বভাব সম্পর্কে যেমন তিক্ততা বাড়িয়ে তুলছে তেমনই যৌনতার প্রতিও আগ্রহ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। এর পিছনেও দায়ী আমাদের জীবনধারা। আর এখান থেকে ফিকে হচ্ছে দাম্পত্যের সুখ। বাড়ছে জীবনে অশান্তি। এই সমস্যাগুলো মহিলা, পুরুষদের মধ্যে নির্বিশেষে দেখা যাচ্ছে। পুরুষদের যৌন রোগ, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ও বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাগুলোর সমাধান রয়েছে। শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বার করে দেওয়া হয় এবং এখান থেকে পুরুষদের মধ্যে বেড়ে ওঠে যৌন আকাঙ্ক্ষা।  হোমিওপ্যাথি,ন্যাচারালপ্যাথি, ডায়েট এন্ড নিউট্রিশন অকাল বীর্যপাত, পুরুষত্বহীনতা এবং কম সেক্স ড্রাইভ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এটি স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মানসিক চাপকে কমাতে সাহায্য করে। যৌন ক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করে এবং উন্নত করে। এটি শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণমান উ