কিছু কিছু বদভ্যাস আছে যেগুলো মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে দিন দিন খারাপের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এমনকি এই বদভ্যাসের জন্য হারাতে হতে পারে পুরুষাঙ্গের শক্তিও। মূলত দেহ ভালো থাকলে, ভালো থাকে মন। সুস্থ, সুন্দর ও ফিট শরীর সবারই কাম্য। কেউ চায় না তার শরীরের একটি অঙ্গ ভুলের কারণে অকেজো হয়ে যাক। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন কিছু বদভ্যাসকে গুডবাই জানানো। আর পুরষাঙ্গকে সুস্থ রাখতে আরো আগে ছাড়া উচিত এই বদভ্যাসগুলো।
পুরুষাঙ্গের সমস্যা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না। এটাকে তারা লজ্জার কারণ মনে করেন। তাদেরকে বলছি, আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা থেকেই থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, আর তাকে খুলে বলুন আপনার পুরো সমস্যার কথা।
বসে বসে সময় কাটানো: আমাদের মধ্যে যারা এখনো নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের যৌনস্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর যারা কাজহীন ঘরে পড়ে থাকছেন,তাদের বলছি দ্রুত কাজ খুঁজুন। কারণ যারা এখনো অলস সময় পার করছেন, তাদের মধ্যে যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। কাজহীন থাকতে থাকতে একসময় পুরুষাঙ্গের শক্তি হারাতে বসবেন আপনি।
ধূমপান: ধূমপানে অকেজো হতে পারে আপনার শরীর, এটা অনেকেরই জানা। পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। আর ধূমপান ছাড়ার পর ৭৫ শতাংশেরই যৌনক্ষমতা বেড়েছে। আর অনেকের মিলনে বেড়েছে ব্যাপ্তি।
দাঁতের অপরিচ্ছন্নতা: অবাক হচ্ছেন, পুরুষাঙ্গের শক্তির সঙ্গে দাতের কী সম্পর্ক? শুনতে আজব মনে হলেও এটা সত্যি যে, যার পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে দৃঢ় না হওয়ার সমস্যায় আছেন, তাদের মাড়িতে সমস্যা থাকার আশঙ্কা সাধারণের তুলনায় সাতগুণ বেশি। এর কারণ হলো দাঁতের অপরিচ্ছন্নতার কারণে মুখের ব্যাকটেরিয়া সারা শরীরে প্রবাহিত হয় এবং তা পুরুষাঙ্গের ধমনির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যার ফলে লিঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে।
অপর্যাপ্ত ঘুম: পুরুষাঙ্গ অকেজো হওয়ার জন্য অনেকেই অপর্যাপ্ত ঘুমকে দায়ী করেছে। তাদের মতে, শরীরের ঘুমের চাহিদা পূরণ না হলে ‘টেস্টোস্টেরন’এর মাত্রা কমে যায়। ফলে অবসাদ হয়। যা থেকে পেশি ও হাড়ের ঘনত্বও কমে যেতে পারে। দুটি প্রভাবই পুরুষাঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত।
অপর্যাপ্ত সঙ্গম: অনেকেই বলে বেশি সঙ্গমের ফলে নাকি যৌন জীবন ধ্বংসের দিকে যায়। তবে হয়ত এটা হতে পারে। কিন্তু একাবারে সঙ্গম না করলেও কিন্তু কোনভাবেই সুস্থ থাকা যায় না। কেউ সপ্তাহে তিন থেকে চারবার সঙ্গম করেন। আবার অনেকে মাসে একবারও সঙ্গম করেন না। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একবার সঙ্গমে লিপ্ত না হলে পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে দৃঢ় না হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই জন্য চিকিৎসকের মতে, সপ্তাহে তিনবার সঙ্গম হলো আদর্শ।
ট্রান্স ফ্যাট: শরীর প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ করলে শুক্রাণুর মান খারাপ হতে থাকে। তাই শুক্রাণুর সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং ট্রান্স ফ্যাট পরিহার করতে হবে।
অতিরিক্ত টেলিভিশন: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা টেলিভিশন দেখতে ভীষণ ভালোবাসে। একটি গবেষণায় দেখা দেখা গেছে, সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি সময় টেলিভিশন দেখা পুরুষের শুক্রাণুর মাত্রা ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
দুশ্চিন্তা: মানুষের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হলো তার বউ। যদি এদের কাছ থেকে এই ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়, তাহলে এটি (দুশ্চিন্তা) ধীরে ধীরে আপনার শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম নষ্ট করে দিতে থাকে যার থেকে বাদ যায় না যৌনক্ষমতাও।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: পুরুষাঙ্গের শক্তি কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে শরীরের ওজন বেশি হওয়া। এই ধরনের বেশি ওজনের পুরুষের ক্ষেত্রে যৌন সঙ্গমের ইচ্ছা কমে যেতে থাকে। তাই বলে ভাবছেন ওজন কম থাকা ভালো? সেটাও না। ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম থাকলে সেটাও যৌন ক্ষমতা কমিয়ে আসে।
ব্যায়াম না করা: ব্যায়ামকে আমরা অনেকেই খারাপ চোখে দেখি। এমনকি অনেকেই আবার এও মনে করেন, ব্যায়াম করলে নাকি পুরুষাঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না তাদের যৌনক্ষমতা কমতে থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণও বৃদ্ধি পায় যা আপনার যৌনাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।
Comments
Post a Comment