Skip to main content

সেক্সের চরম তৃপ্তি দ্বিগুণ করে তোলার জন্য ভরসা এসব সহজ ব্যায়াম

 



প্রতিদিন ব্যায়াম আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে, এনার্জি বাড়ায়। কিন্তু কোন কোন সহজ ব্যায়াম রোজ করলে আপনার যৌন জীবন আর  আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে। 

 

প্ল্যাঙ্কস

 

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্ল্যাঙ্কস আপনার পিঠের আর পেটের পেশিগুলোকে সবল করে তুলতে সাহায্য করে। শরীরের উপরের অংশ মজবুত হলে অনেক বেশিক্ষণ পারফর্ম করতে পারবেন। প্রতিদিন 10 মিনিট প্ল্যাঙ্কস করুন,নিজেই বুঝতে পারবেন।

 

কী করে করবেন: উপুড় হয়ে শুয়ে হাতদুটো দু’পাশে মেঝেতে পাশাপাশি রাখুন, তারপর হাতের উপর ভর দিয়ে পুশ-আপের ভঙ্গিতে উপরের দিকে শরীরটাকে টেনে তুলুন। পায়ের আঙুল মেঝেতে ছুঁয়ে থাকবে, পিঠ আর মাথা থাকবে একই লাইনে। শরীরটাকে উপরে তোলার সময় পুরো ওজনটা থাকবে বাহু আর পায়ের আঙুলের উপর। শ্বাস টেনে বন্ধ করে যতক্ষণ পারবেন এই অবস্থায় থাকুন, তারপর ধীরে ধীরে শরীরটাকে নামিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। রিপিট করুন।

 

কেগলস

 

পেলভিক মাসলের জোর বাড়াতে জুড়ি নেই কেগলসের। অর্গাজ়মের সময় পেলভিক মাসল সংকুচিত হয়। কাজেই বুঝতেই পারছেন, পেলভিক মাসল যদি মজবুত হয় তা হলে অর্গাজ়মের সুখও কয়েকগুণ বেড়ে যেতে বাধ্য! কেগলস করার জন্য কোনও যন্ত্রপাতির দরকার নেই, যে কোনও জায়গায় বসে কেগলস করতে পারেন। তবে আগে বাথরুম করে নেবেন। ঠিকঠাক কেগলস করার জন্য ব্লাডার খালি থাকা দরকার।

 

কীভাবে করবেন:

 

ইউরিনের বেগ সম্বরণ করার জন্য আপনি যে পেশিগুলো সংকুচিত করেন, সেটাই পেলভিক মাসল। ইউরিন বন্ধ করতে হলে যেভাবে পেশি সংকুচিত করেন, ঠিক সেভাবেই সংকুচিত করুন। কম করে পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর ছেড়ে দিন। বেশ কয়েকবার রিপিট করুন।

 

গ্লুট ব্রিজ

 

নিতম্বের পেশি মজবুত আর সুগঠিত করতে আপনাকে করতে হবে গ্লাট ব্রিজ। নিতম্বের পেশি আর হ্যামস্ট্রিং মজবুত হলে আপনার শরীরও নমনীয় থাকবে, ফলে সেক্সের আনন্দ অনেক বেশি পাবেন।

 

কীভাবে করবেন: মাটিতে শুয়ে পড়ুন। হাতের পাতা মেঝেতে থাকবে। হাঁটু মুড়ে ভাঁজ করে নিন। এবার গোড়ালির উপর ভর করে ধীরে ধীরে কোমর আর নিতম্ব উপরে তুলুন। কাঁধ আর পিঠের উপরের অংশ মেঝে ছুঁয়ে থাকবে। এবার নিতম্ব উপরে তোলা অবস্থাতেই নিতম্বের পেশিগুলো সংকুচিত করার চেষ্টা করুন। পাঁচ সেকেন্ড রেখে ছেড়ে দিন। ধীরে ধীরে শরীর মেঝেতে নামিয়ে আনুন।

 

নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলো করলে নিশ্চিতভাবেই অনেক বেশি সুখময় হয়ে উঠবে আপনাদের যৌনজীবন। 



Comments

Popular posts from this blog

ঠিক কোন সমস্যা ডেকে আনে সেক্সে আসক্তি

  ঠিক কোন সমস্যা ডেকে আনে সেক্সে আসক্তি? সেক্সের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির সমস্যা অনেকেই ভোগেন। অনেক সময়ই এই আসক্তি ডেকে আনে গুরুতর শারীরিক রোগ। আবার অনেক সময় প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় গভীর অবসাদে ভোগেন অনেকে।  ১। বাইপোলার ডিজঅর্ডার: এই মানসিক সমস্যায় ভুগলে সেক্সে প্রতি অসক্তি বাড়ে। বাইপালোর ডিজঅর্ডার থাকলে একজন মানুষের মধ্যে দুটো চরিত্র বাস করে। এই সমস্যায় যখন কেউ নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় পৌঁছে যায় তখন ঝুঁকিপূর্ণ সেক্সে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ২। বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার: যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত হন তাঁরা অতিরিক্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। ফলে অনেক সময়ই সেক্স আসক্তির শিকার হয়ে পড়েন তাঁরা। ৩। শারীরিক নির্যাতনের শিকার: অনেক সময় ছোটবেলায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে সেক্সের প্রতি ভয় জন্মায়। বড় হয়ে সেই ট্রমা কাটাতে অনেকে সেক্সে‌ আসক্ত হতে চান। যাতে কোনও ভাবে সেই ট্রমা তাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। ৪। অ্যাসপারগার’স সিনড্রোম: এই সমস্যায় বুদ্ধির বিকাশ হয় দেরিতে। কিন্তু বয়ঃসন্ধি থেকেই স্বাভাবিক চাহিদা তৈরি হয় শরীরে। নিজেদের অজান্তেই তাই এরা সেক্স আসক্তিতে ভুগতে থ...

সঙ্গমের স্থায়িত্ব কতক্ষণ?

  সঙ্গমের স্থায়িত্ব কতক্ষণ?  পুরুষ-নারীর মধ্যে যৌন মিলনে বাড়তি উন্মদনা কে না চায়। রতিক্রিয়ায় সঙ্গী পারদর্শী না হলে এর চেয়ে দুঃখের বোধ হয় আর কিছুই হতে পারে না ৷ ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে পাওয়া গেছে যে- সর্বোত্তম যৌন মিলনের সময়-ব্যপ্তি ৭ থেকে ১৩  মিনিট পর্যন্ত হয় ৷  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য দিয়েছেন যে বেস্ট সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স ৭-১৩ মিনিটের  ভিতর হয়। সমীক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেছেণ ৩ মিনিটের  সেক্স  পর্যাপ্ত সময় হয় ৷ এই গবেষণা করা হয়েছিল পেনিট্রেটিব সেক্সের ক্ষেত্রে আদর্শ সময় কি এটা নির্ণয় করার জন্য৷ এজন্য আমেরিকান এবং কানাডিয়ান  যুগলদের রান্ডম সিলেকশানের মাধ্যমে প্রশ্ন করা হয়। তাদের সবার উত্তর  ছিল - ৭ থেকে ১৩  মিনিটের যৌন মিলন 'কাম্য বা বাঞ্চনীয়'। অন্য একটি গবেষনা মতে - যৌনবিষয়ে সঠিক শিক্ষা, অঞ্চল, চামড়ার রঙ এবং শারীরিক আকারের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে যৌনমিলনে সময়-ব্যপ্তির তারতম্য দেখা যায়। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলি যেমন- বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার (বাদামী চা...

সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ

  সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ: সিফিলিস প্রধান যৌন রোগগুলোর মধ্য অন্যতম। এটি একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১২ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ দেহে দীর্ঘকালীন জটিলতা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের দেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, বিশেষ করে শহর এলাকায় রোগটি সচরাচর দেখা যায়। বন্দরনগরী ও শিল্পনগরীতে এ রোগটি সাধারণত দেখা যায়। সংক্রমণের উৎস কী : আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, ক্ষত হতে নিঃসৃত রস, লালা, যোনি থেকে নিঃসৃত রস, যোনি থেকে নিঃসৃত রক্ত, বীর্য আক্রান্ত ব্যক্তির ঠোঁট ও মুখ। কিভাবে সংক্রমিত হয় : আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে সৃষ্ট সিফিলিটিক ক্ষত এর সরাসরি সংস্পর্শে এলে জনান্তরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌনমিলন করলে। অনিরাপদ যৌনি মিলন, বিশেষ করে পায়ুপথে যৌন মিলন কিংবা মুখ মৈথুন কিংবা চুম্বন বিনিময় করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করলে। রক্তসঞ্চালন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ও এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত মা সন্তান জন্মদানের আগেই শিশুর দেহে বিস্তার ঘটিয়ে দেন। আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলে। বিশেষ...