Skip to main content

ছেলেদের কিছু গোপন বা যৌন সমস্যা ও তার কারণ জেনে নিন ( Cure Point Consultancy )


 

মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা রয়েছে তেমনি এর সমাধানও রয়েছে। মানুষের যৌনজীবনে বিভিন্ন যৌন সমস্যা রয়েছে এবং সেই যৌন সমস্যাগুলির সমাধান রয়েছে। প্রতিটি মানুষ যৌবনের সাথে জন্মগ্রহণ করে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে এই প্রতিটা মানুষের জীবনে যৌবন আসে। এটি মানব জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়। এই সময়ে পুরুষ ও মহিলাদের শরীর ও মনের মধ্যে একটি দুর্দান্ত পরিবর্তন ঘটে। একই সঙ্গে নারী ও পুরুষদের বিভিন্ন ধরণের যৌন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। যা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।

 

ছেলেদের যৌন সমস্যা সম্পর্কে যেনে নেই: ( Cure Point Consultancy )

 

ছেলেদের যৌন সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় প্রথম যে বিষয়টি মনে আসে তা হলো অকাল বীর্যপাত। বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পুরুষ তাদের জীবনের কোনও না কোনও সময় যৌন রোগে ভুগেন । তবে সঠিক সময় সঠিক ব্যবস্থা নিয়ে শীঘ্রপতনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

 

অকাল বীর্যপাতের বিপরীতে বিলম্বিত বীর্যপাত একটি যৌন সমস্যা। ‘বীর্যপাতের ক্ষেত্রে খুব বেশি বিলম্ব হয় যা উভয়ের পক্ষে অসুবিধে হয়। এই সমস্যাটি সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণের অভাব, ধর্মীয় বা অন্যান্য কারণে যৌন কর্মহীনতা, স্নায়ুর ক্ষতি, কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারনেও হতে পারে। সঠিক কারণটি সনাক্ত করতে পারলে, এই যৌন সমস্যাটি (বিলম্বিত বীর্যপাত) এড়ানো কোন বিষয় না।

 

যৌন কর্মহীনতার আরেকটি গুরুতর কারণ হল রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন। এই ক্ষেত্রে বীর্যপাতের সময় বীর্য মূত্রনালী দিয়ে বাহিরে না এস মূত্রাশয়টিতে প্রবেশ করে। ফলস্বরূপ ‘হস্তমৈথুন’ বা যৌন মিলনের সময় আপনার প্রচণ্ড উত্তেজনা থাকলেও বীর্য বের হয় না।  এই ধরনের যৌন সমস্যা দেখা দেয় যখন মূত্রাশয়ের স্পিঙ্কটার পেশীগুলি সঠিকভাবে কাজ করে না । পুরুষ বন্ধ্যাত্বের একটি সম্ভাব্য কারণ হল বিপরীতমুখী বীর্যপাত। কারণের উপর নির্ভর করে সমস্যাটি ওষুধ বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।

 

ছেলেদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ‘যৌন সমস্যা’ হলো  ফ্ল্যাগেলেশন বা পুরুষত্বহীনতা। এই রোগে লিঙ্গ  জাগ্রত হয় না বা অল্প সময়ের মধ্যেও আলগা হয়। প্রায় 40 শতাংশ পুরুষ তাদের জীবনের কোনও না কোনও সময় এই যৌন সমস্যাটি অনুভব করেন। এই রোগের আধুনিক নাম ইরেকটাইল ডিসফংশানশন। বিভিন্ন শারীরিক বা মানসিক কারণে এই সমস্যা হতে পারে। শারীরিক কারণসমূহ হল মূলত হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, হরমোনজনিত সমস্যা, স্নায়বিক দুর্বলতা, অন্যান্য বয়স সম্পর্কিত অসুস্থতা, ধূমপান, ওষুধের ‘পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া’, যৌনাঙ্গে আঘাত ইত্যাদি মানসিক কারণগুলির মধ্যে একটি হলো উদ্বেগ, মানসিক অসুস্থতা, প্রেমের সাথে আবদ্ধ না হওয়ার চিন্তা ইত্যাদি। তবে এ সুচিকিৎসা দিয়ে  নিরাময় সম্ভব। ( Cure Point Consultancy )

 

যৌন কর্মহীনতার আরেকটি সমস্যা হলো পুরুষদের যৌন ক্ষুধা হ্রাস। এই সমস্যাটি মূলত শরীরে টেস্টোস্টেরনের হরমোন হরমোনগুলির নিম্ন স্তরের কারণে ঘটে। ( Cure Point Consultancy ) তবে অনেক সময় মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, ডায়াবেটিস, অস্বাভাবিক রক্তচাপ দেখা দেয়া ইত্যাদির ফলেও যৌন ইচ্ছা কমে যেতে পারে। ‘চিকিতৎসার জন্য একজন চিকিতৎসকের (সেক্সোলজিস্ট) পরামর্শ নেওয়া উচিত’। তবে দেখা গেছে যে শারীরিক ক্রিয়াকলাপে বা ব্যায়াম করলে যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

 

এ ছাড়া এইচআইভি, গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদির মতো পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন ‘যৌন সংক্রামিত’ রোগ যৌন জটিলতার কারণ হয়। তবে পত্র পত্রিকায় বা ট্রেন-বাসে যে ধাতব রোগটির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক। ( Cure Point Consultancy ) মূত্রত্যাগ অনিয়মিত হওয়াও কোনও যৌনরোগ নয়, এটি কিডনি এবং মূত্রনালীর সমস্যা যার জন্য নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


Comments

Popular posts from this blog

ঠিক কোন সমস্যা ডেকে আনে সেক্সে আসক্তি

  ঠিক কোন সমস্যা ডেকে আনে সেক্সে আসক্তি? সেক্সের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির সমস্যা অনেকেই ভোগেন। অনেক সময়ই এই আসক্তি ডেকে আনে গুরুতর শারীরিক রোগ। আবার অনেক সময় প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় গভীর অবসাদে ভোগেন অনেকে।  ১। বাইপোলার ডিজঅর্ডার: এই মানসিক সমস্যায় ভুগলে সেক্সে প্রতি অসক্তি বাড়ে। বাইপালোর ডিজঅর্ডার থাকলে একজন মানুষের মধ্যে দুটো চরিত্র বাস করে। এই সমস্যায় যখন কেউ নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় পৌঁছে যায় তখন ঝুঁকিপূর্ণ সেক্সে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ২। বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার: যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত হন তাঁরা অতিরিক্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। ফলে অনেক সময়ই সেক্স আসক্তির শিকার হয়ে পড়েন তাঁরা। ৩। শারীরিক নির্যাতনের শিকার: অনেক সময় ছোটবেলায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে সেক্সের প্রতি ভয় জন্মায়। বড় হয়ে সেই ট্রমা কাটাতে অনেকে সেক্সে‌ আসক্ত হতে চান। যাতে কোনও ভাবে সেই ট্রমা তাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। ৪। অ্যাসপারগার’স সিনড্রোম: এই সমস্যায় বুদ্ধির বিকাশ হয় দেরিতে। কিন্তু বয়ঃসন্ধি থেকেই স্বাভাবিক চাহিদা তৈরি হয় শরীরে। নিজেদের অজান্তেই তাই এরা সেক্স আসক্তিতে ভুগতে থ...

সঙ্গমের স্থায়িত্ব কতক্ষণ?

  সঙ্গমের স্থায়িত্ব কতক্ষণ?  পুরুষ-নারীর মধ্যে যৌন মিলনে বাড়তি উন্মদনা কে না চায়। রতিক্রিয়ায় সঙ্গী পারদর্শী না হলে এর চেয়ে দুঃখের বোধ হয় আর কিছুই হতে পারে না ৷ ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে পাওয়া গেছে যে- সর্বোত্তম যৌন মিলনের সময়-ব্যপ্তি ৭ থেকে ১৩  মিনিট পর্যন্ত হয় ৷  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য দিয়েছেন যে বেস্ট সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স ৭-১৩ মিনিটের  ভিতর হয়। সমীক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেছেণ ৩ মিনিটের  সেক্স  পর্যাপ্ত সময় হয় ৷ এই গবেষণা করা হয়েছিল পেনিট্রেটিব সেক্সের ক্ষেত্রে আদর্শ সময় কি এটা নির্ণয় করার জন্য৷ এজন্য আমেরিকান এবং কানাডিয়ান  যুগলদের রান্ডম সিলেকশানের মাধ্যমে প্রশ্ন করা হয়। তাদের সবার উত্তর  ছিল - ৭ থেকে ১৩  মিনিটের যৌন মিলন 'কাম্য বা বাঞ্চনীয়'। অন্য একটি গবেষনা মতে - যৌনবিষয়ে সঠিক শিক্ষা, অঞ্চল, চামড়ার রঙ এবং শারীরিক আকারের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে যৌনমিলনে সময়-ব্যপ্তির তারতম্য দেখা যায়। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলি যেমন- বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার (বাদামী চা...

সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ

  সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ: সিফিলিস প্রধান যৌন রোগগুলোর মধ্য অন্যতম। এটি একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১২ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ দেহে দীর্ঘকালীন জটিলতা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের দেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, বিশেষ করে শহর এলাকায় রোগটি সচরাচর দেখা যায়। বন্দরনগরী ও শিল্পনগরীতে এ রোগটি সাধারণত দেখা যায়। সংক্রমণের উৎস কী : আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, ক্ষত হতে নিঃসৃত রস, লালা, যোনি থেকে নিঃসৃত রস, যোনি থেকে নিঃসৃত রক্ত, বীর্য আক্রান্ত ব্যক্তির ঠোঁট ও মুখ। কিভাবে সংক্রমিত হয় : আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে সৃষ্ট সিফিলিটিক ক্ষত এর সরাসরি সংস্পর্শে এলে জনান্তরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌনমিলন করলে। অনিরাপদ যৌনি মিলন, বিশেষ করে পায়ুপথে যৌন মিলন কিংবা মুখ মৈথুন কিংবা চুম্বন বিনিময় করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করলে। রক্তসঞ্চালন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ও এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত মা সন্তান জন্মদানের আগেই শিশুর দেহে বিস্তার ঘটিয়ে দেন। আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলে। বিশেষ...