Skip to main content

যৌনসঙ্গমের সময় যন্ত্রণা হলে সাবধান! এটি ডিসপারিউনিয়া লক্ষণ



 

(Cure Point Consultancy) যৌনসঙ্গম (Intimacy) করার সময় প্রাথমিকভাবে ব্যথা করা স্বাভাবিক। তবে সেই যন্ত্রণা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবেই গণ্ডগোল। তখন ডিসপারেউনিয়ার (Dyspareunia) আশঙ্কা করা হয়।

 

১.যৌন রোগ নিয়েও লুকোছাপা করতে পিছপা হন না।

২.যন্ত্রণাদায়ক যৌনসঙ্গম ডিসপারেউনিয়া (Dyspareunia) রোগের লক্ষণ।

৩.এই রোগ শুধু মহিলাদেরই নয়, পুরুষেরও হতে পারে।

 

কেউ বলে নিছক জৈবিক প্রক্রিয়া আবার কারও মতে নতুন প্রজন্ম উৎপাদনের পদ্ধতি। কিন্তু যৌনসঙ্গম (Intimacy) যে আদতে শারীরিক এবং মানসিক সুখের একটি উপায় তা মুখে না হলে মনে মনে কেউ অস্বীকার করবেন না। সে যাই হোক, বিশ্বের আদি এবং অকৃত্রিম এই জৈবিক প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের দেশে আজও ঢাক ঢাক, গুর গুরের কমতি নেই। কিন্তু আসল তথ্যটা স্পষ্ট করে দেয় দেশের বাড়তে থাকা জনসংখ্যা। (Cure Point Consultancy)

 

ভারতীয়দের একটা বড় অংশ এখনও যৌনতা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনায় অস্বস্তি বোধ করেন। এমনকী যৌনরোগ নিয়েও লুকোছাপা করতে পিছপা হন না। ফলে যৌন স্বাস্থ্য (Sex Hygiene) নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বহু মানুষকে এবং যৌনতা নিয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকায় বিনা চিকিৎসায় অস্বাস্থ্যকর যৌনজীবন কাটাতে গিয়ে কঠিন রোগ, (Cure Point Consultancy) এমনকী মৃত্যুর মুখোমুখিও হন অনেকে। ডাক্তারের পরামর্শের পরিবর্তে বন্ধুবান্ধব, কিংবা ঘনিষ্ঠ লোকদের মুখে শোনা অবৈজ্ঞানিক কথাতে বিশ্বাস করতে গিয়ে বিপদ আরও বাড়ে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যৌনতা নিয়ে আলোচনায় অস্বস্তি থাকলেও রোগ হলে চিকিৎসককে এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই হাতুড়ে ডাক্তার নন, মেনে চলা উচিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমবার যৌনমিলনের সময় মহিলাদের ক্ষেত্রে যোনিদ্বারে ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক। ক্রমে তা নিজে থেকেই দূর হয়ে যায়। কিন্তু এই ব্যথা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলে তখন তা চিন্তার বিষয় বইকি। যন্ত্রণাদায়ক যৌনসঙ্গম ডিসপারেউনিয়া (Dyspareunia) রোগের লক্ষণ এবং এই অসুখের কারণে যন্ত্রণাদায়ক যৌনমিলন ঘটে। ফলে যৌনতায় আগ্রহ কমতে থাকে এবং এর প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবন তথা সম্পর্কে। (Cure Point Consultancy) এই রোগ শুধু মহিলাদেরই নয়, পুরুষেরও হতে পারে। যৌনসঙ্গমের আগে, সঙ্গমের সময় এবং সঙ্গমের পরে এই যন্ত্রণা (Pain) শুরু হতে পারে। লুব্রিকেশনের অভাব, ত্বকের সংক্রমণ, অসুস্থতা, কোনও অপারেশন, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদ ইত্যাদির কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।


Comments

Popular posts from this blog

ঠিক কোন সমস্যা ডেকে আনে সেক্সে আসক্তি

  ঠিক কোন সমস্যা ডেকে আনে সেক্সে আসক্তি? সেক্সের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির সমস্যা অনেকেই ভোগেন। অনেক সময়ই এই আসক্তি ডেকে আনে গুরুতর শারীরিক রোগ। আবার অনেক সময় প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় গভীর অবসাদে ভোগেন অনেকে।  ১। বাইপোলার ডিজঅর্ডার: এই মানসিক সমস্যায় ভুগলে সেক্সে প্রতি অসক্তি বাড়ে। বাইপালোর ডিজঅর্ডার থাকলে একজন মানুষের মধ্যে দুটো চরিত্র বাস করে। এই সমস্যায় যখন কেউ নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় পৌঁছে যায় তখন ঝুঁকিপূর্ণ সেক্সে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ২। বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার: যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত হন তাঁরা অতিরিক্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। ফলে অনেক সময়ই সেক্স আসক্তির শিকার হয়ে পড়েন তাঁরা। ৩। শারীরিক নির্যাতনের শিকার: অনেক সময় ছোটবেলায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে সেক্সের প্রতি ভয় জন্মায়। বড় হয়ে সেই ট্রমা কাটাতে অনেকে সেক্সে‌ আসক্ত হতে চান। যাতে কোনও ভাবে সেই ট্রমা তাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। ৪। অ্যাসপারগার’স সিনড্রোম: এই সমস্যায় বুদ্ধির বিকাশ হয় দেরিতে। কিন্তু বয়ঃসন্ধি থেকেই স্বাভাবিক চাহিদা তৈরি হয় শরীরে। নিজেদের অজান্তেই তাই এরা সেক্স আসক্তিতে ভুগতে থ...

সঙ্গমের স্থায়িত্ব কতক্ষণ?

  সঙ্গমের স্থায়িত্ব কতক্ষণ?  পুরুষ-নারীর মধ্যে যৌন মিলনে বাড়তি উন্মদনা কে না চায়। রতিক্রিয়ায় সঙ্গী পারদর্শী না হলে এর চেয়ে দুঃখের বোধ হয় আর কিছুই হতে পারে না ৷ ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে পাওয়া গেছে যে- সর্বোত্তম যৌন মিলনের সময়-ব্যপ্তি ৭ থেকে ১৩  মিনিট পর্যন্ত হয় ৷  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য দিয়েছেন যে বেস্ট সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স ৭-১৩ মিনিটের  ভিতর হয়। সমীক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেছেণ ৩ মিনিটের  সেক্স  পর্যাপ্ত সময় হয় ৷ এই গবেষণা করা হয়েছিল পেনিট্রেটিব সেক্সের ক্ষেত্রে আদর্শ সময় কি এটা নির্ণয় করার জন্য৷ এজন্য আমেরিকান এবং কানাডিয়ান  যুগলদের রান্ডম সিলেকশানের মাধ্যমে প্রশ্ন করা হয়। তাদের সবার উত্তর  ছিল - ৭ থেকে ১৩  মিনিটের যৌন মিলন 'কাম্য বা বাঞ্চনীয়'। অন্য একটি গবেষনা মতে - যৌনবিষয়ে সঠিক শিক্ষা, অঞ্চল, চামড়ার রঙ এবং শারীরিক আকারের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে যৌনমিলনে সময়-ব্যপ্তির তারতম্য দেখা যায়। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলি যেমন- বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার (বাদামী চা...

সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ

  সিফিলিস মারাত্মক যৌন রোগ: সিফিলিস প্রধান যৌন রোগগুলোর মধ্য অন্যতম। এটি একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১২ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ দেহে দীর্ঘকালীন জটিলতা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের দেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, বিশেষ করে শহর এলাকায় রোগটি সচরাচর দেখা যায়। বন্দরনগরী ও শিল্পনগরীতে এ রোগটি সাধারণত দেখা যায়। সংক্রমণের উৎস কী : আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, ক্ষত হতে নিঃসৃত রস, লালা, যোনি থেকে নিঃসৃত রস, যোনি থেকে নিঃসৃত রক্ত, বীর্য আক্রান্ত ব্যক্তির ঠোঁট ও মুখ। কিভাবে সংক্রমিত হয় : আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে সৃষ্ট সিফিলিটিক ক্ষত এর সরাসরি সংস্পর্শে এলে জনান্তরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌনমিলন করলে। অনিরাপদ যৌনি মিলন, বিশেষ করে পায়ুপথে যৌন মিলন কিংবা মুখ মৈথুন কিংবা চুম্বন বিনিময় করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করলে। রক্তসঞ্চালন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ও এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত মা সন্তান জন্মদানের আগেই শিশুর দেহে বিস্তার ঘটিয়ে দেন। আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলে। বিশেষ...